মাতৃত্বের মাঝপথ: গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মায়ের শরীর ও মনের জার্নি
তিন মাস পেরিয়ে এগিয়ে চলা এক অসাধারণ যাত্রা—এই সময়টায় মায়ের শরীর ও মনে ঘটে নানা রঙের পরিবর্তন। আসুন জেনে নেই মাতৃত্বের মাঝপথের গল্প।
#মাতৃত্বের_মাঝপথ #গর্ভকালীন_সচেতনতা #মায়ের_যত্ন #গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস—অর্থাৎ চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাস পর্যন্ত সময়টুকু অনেক মায়ের কাছেই তুলনামূলক স্বস্তির হয়। এই সময়টায় শরীর প্রথম তিন মাসের নানা অস্বস্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করে, আর শিশুর উপস্থিতি বাস্তবে অনুভব করা যায়।
🌿 কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে এই সময়ে?
✅ মর্নিং সিকনেস হ্রাস পায়:
প্রথম দিকে যেসব বমিভাব, গন্ধে অস্বস্তি বা ক্লান্তি ছিল, সেগুলো এখন অনেকটাই কমে আসে। মা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া ও রুটিনে ফিরে আসেন। তবে যদি সমস্যা পুরোপুরি না কাটে, ভিটামিন বি-৬ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা যেতে পারে।
✅ শিশুর প্রথম নড়াচড়া টের পাওয়া যায়:
১৩-১৪ সপ্তাহের পর থেকেই মায়ের মনে হতে পারে পেটের ভেতরে হালকা আন্দোলন হচ্ছে। এটাই হয়তো ছোট্ট প্রাণের প্রথম বার্তা।
✅ পিঠ ও কোমরে ব্যথা:
শরীরের ওজন বাড়তে শুরু করলে, বিশেষ করে পেটের অংশে চাপ পড়ায় কোমর ও পিঠে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
✅ মনোসংযোগে সমস্যা ও দুঃস্বপ্ন দেখা:
স্নায়ুচাপের কারণে অনেক সময় ঘুমে বিঘ্ন ঘটে, অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখেন। তবে পরিবার-পরিজনের স্নেহ, কথা বলা ও মানসিক সাপোর্ট এ সময় খুব কার্যকরী হতে পারে।
✅ তলপেটের চামড়ায় টান:
শিশুর বৃদ্ধি ও পেটের প্রসারণের কারণে ত্বকে টান পড়তে পারে, কিছু জায়গায় দাগ দেখা যায়, যা শিশুর জন্মের পর অনেক সময়েই কমে যায়।
✅ ঘন ঘন প্রস্রাব:
এই সময়ে ইউটেরাস বড় হওয়ায় মূত্রথলির উপর চাপ পড়ে, ফলে বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়।
এই তিন মাসে মায়েদের উচিত নিজেদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা। নিয়মিত ডাক্তার দেখানো, প্রয়োজনমতো হালকা ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামই হতে পারে এই সময়ের সেরা সঙ্গী।
0 মন্তব্যসমূহ