সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

শিশুর সুস্থতায় নিয়মিত কৃমিনাশক


🧒✨ “শিশুর সুস্থতায় নিয়মিত কৃমিনাশক — সচেতনতাই সুরক্ষা” ✨🧒

👉 আপনার আদরের শিশুটির সুস্থ ও সুগঠিত বেড়ে ওঠার জন্য কৃমিনাশক খাওয়ানো একটি জরুরি ধাপ।
✅ ঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা, ঘুম ও বৃদ্ধি — সবই উন্নত হয়।
🧼 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক অভ্যাস এবং পরিবারসবার সচেতনতা কৃমির ঝুঁকি কমায় অনেকটাই!

শিশুর  কৃমিনাশক ব্যবহারের নিয়মাবলি:

১. প্রাথমিক প্রস্তুতি:

যদি শিশুর কৃমির উপসর্গ প্রবল হয়, তাহলে সরাসরি কৃমির ওষুধ না দিয়ে প্রথমে এক সপ্তাহ অ্যালার্জি প্রতিরোধক (অ্যান্টিহিস্টামিন) খাওয়ানো উচিত। এতে কৃমিগুলো দুর্বল বা মৃত হয়ে পড়ে এবং সেগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে এলেও কোনো এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না।

২. ঔষধ খাওয়ানোর রাতে যত্ন:

কৃমিনাশক খাওয়ানোর দিন রাতে শিশুকে ওষুধ দিয়ে তার মলদ্বার পরিষ্কার করতে হবে। এরপর নিজের হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শিশুর পায়ুপথ আবার পরিষ্কার করে নিজেকেও সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে মৃত কৃমির ডিম শরীরে ফিরে না আসে।

৩. পরিবারের সবার চিকিৎসা:

শুধু শিশুকে না, বরং পরিবারের সকল সদস্যেরই একসাথে কৃমির ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ওষুধ খাওয়ানোর পর শিশুর যদি ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, তাহলে একটি ভিটামিন সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে।

৪. চুলকানির যত্ন:

যদি শিশুর পায়ুপথে চুলকানি হয়, তাহলে সেখানে ভেসলিন বা চুলকানি নিরোধক মলম লাগাতে হবে এবং স্থানটি সবসময় শুকনো রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।


কৃমি প্রতিরোধের করণীয়:

১. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:

শারীরিক পরিচ্ছন্নতাই কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

২. নখ কাটা ও পরিস্কার রাখা:

শিশুর নখ ছোট করে কেটে রাখতে হবে এবং তা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।

৩. ভুল অভ্যাস ত্যাগ:

মুখে হাত দেওয়া, দাঁতে নখ কাটা বা ময়লা জিনিস স্পর্শ করার মতো অভ্যাস থেকে শিশুদের বিরত রাখতে হবে।

৪. খাবারের আগে হাত ধোয়ার অভ্যাস:

প্রতিটি খাবারের আগে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৫. মাটি ও ধুলাবালি এড়িয়ে চলা:

খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা ও ধুলাবালি-ময়লায় খেলা করা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে।

৬. রাত্রিকালীন চুলকানি প্রতিরোধ:

যদি রাতে ঘুমের মধ্যে শিশুর পায়ুপথ চুলকানোর প্রবণতা থাকে, তাহলে তাকে ঢিলেঢালা পায়জামা পরাতে হবে এবং প্রয়োজনে ভেসলিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

৭. পায়খানার নিয়মিততা:

কোষ্ঠকাঠিন্য কৃমির বিস্তারে সহায়ক হতে পারে। তাই শিশুকে নিয়মিত পায়খানা করার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে।

৮. পর্যায়ক্রমে ওষুধ গ্রহণ:

প্রতি ৬ মাস পর পর (যদি উপসর্গ থাকে তবে ৩ মাস পর পর) পুরো পরিবারসহ গৃহকর্মীদেরও কৃমিনাশক খাওয়ানো উচিত।


Keywords:
Bornali, বর্ণালী, কৃমিনাশক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ